বর্ধমান রেল ষ্টেশনের ঢিলেঢালা নিরাপত্তা নিয়ে সরব রেল যাত্রী মহল
পূর্ব রেলের অন্যতম ব্যস্ততম জংশন স্টেশন বর্ধমান। অথচ নিরাপত্তার বিষয়ে একেবারেই ঢিলেঢালা বলে সাধরন মানুষের অভিযোগ। নাম কা ওয়াস্তে সুরক্ষা ব্যবস্থা ছাড়া আর কিছুই নেই। অথচ বর্ধমানের খাগড়াগড়ের বিস্ফোরণের পর রেলের পক্ষ থেকে সুরক্ষা ব্যবস্থা মজবুত করার জন্য একগুচ্ছ পরিকল্পনা নেওয়া হয়। সেই পরিকল্পনার বাস্তবায়িত হয় কোভিড ও লকডাউনের সময়। স্টেশনে ঢোকা ও বের হওয়ার জন্য প্রধান দুটি গেটে বসানো হয় ডোর ফ্রেম মেটাল ডিটেক্টর বা ডিএফএমডি। স্টেশনের ১ নম্বর প্লাটফর্মে ঢোকার প্রধান গেটে দুটি ডোর ফ্রেম মেটাল ডিটেক্টর বসানোর পাশাপাশি বসানো হয় লাগেজ স্ক্যানার। রেল সুরক্ষা বাহিনী বা আরপিএফের জওয়ানদের লাগেজ স্ক্যানের ক্ষেত্রে দায়িত্ব দেওয়া হলেও ডোর ফ্রেম মেটাল ডিটেক্টর কার্যত অসুরক্ষিত অবস্থায় পড়ে আছে। অন্যদিকে ২ নম্বর গেটে অর্থাৎ বুকিং কাউণ্টারের ঠিক সামনেও দুটি ডোর ফ্রেম মেটাল ডিটেক্টর বসানো হয় বছর তিনেক আগে। কিন্তু দুটি ডিএফএমডি-ই অকেজো অবস্থায় পড়ে আছে দীর্ঘদিন ধরে। যাত্রীদের অভিযোগ রেল কর্তৃপক্ষ সুরক্ষার বিষয়ে চরম উদাসীন।ট্রেন যাত্রী সৌরেন দাস বলেন, স্টেশনে নিরাপত্তার বন্দোবস্ত নেই। একেবারেই খারাপ অবস্থা। যাত্রীদের সুরক্ষার বিষয়ে রেলের জোর দেওয়া উচিত। গড়ে প্রতিদিন বর্ধমান স্টেশন দিয়ে ১ লক্ষ ১০ হাজার যাত্রী যাতায়াত করেন।মেল, এক্সপ্রেস ও লোকাল মিলিয়ে প্রতিদিন গড়ে ৩০০ টি ট্রেন চলাচল করে বর্ধমান স্টেশন দিয়ে। তাই স্বাভাবিক ভাবেই বর্ধমান জংশন স্টেশনের গুরুত্ব ও ব্যস্ততা হাওড়া স্টেশনের পরেই। স্টেশন ম্যানেজার স্বপন অধিকারী বলেন, ১ নম্বর গেটে লাগেজ স্ক্যানারের পাশাপাশি ডোর ফ্রেম মেটাল ডিটেক্টর দুটি বসানো হয়েছে। দুটিই কাজ করে। তবে ২ নম্বর গেটের দুটি ডোর ফ্রেম মেটাল ডিটেক্টর খারাপ হয়েছে। ইতিমধ্যেই আরপিএফের পক্ষ থেকে দায়িত্বে থাকা সংস্থাকে বলা হয়েছে মেরামতের জন্য। খুব তাড়াতাড়ি মেরামত করা হবে।অন্যদিকে স্টেশনের প্লাটফর্মে থাকা ডিসপ্লে বোর্ডের অবস্থাও তথৈবচ। ১ ও ২ নম্বর প্লাটফর্মের ডিসপ্লে বোর্ডগুলি কাজ করলেও বাকী প্লাটফর্মগুলিতে ঠিকঠাক করে না। স্টেশন ম্যানেজার স্বপন অধিকারী বলেন, খুব তাড়াতাড়ি সিআইবি বা কোচ ইণ্ডিকেশন বোর্ড লাগানো হবে স্টেশনের সব প্লাটফর্মেই।ফলে খুব তাড়াতাড়ি এই সমস্যা মিটে যাবে বলে তিনি জানান।